সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
স্কাউটসে নিয়মিত কমিটি গঠনের তাগিদ এডহক কমিটি নিয়ে নতুন বিতর্ক। কালের খবর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৬৬নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে গণ-সংযোগ এবং উঠান বৈঠক। কালের খবর চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষক দলের নেতা মাকসুদুর রহমানকে প্রাণনাশের হুমকি ও তাঁর ফসলী জমি দখলের অভিযোগ। কালের খবর লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু। কালের খবর নাফ নদীতে বিজিবির রুদ্ধশ্বাস অভিযান বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার। কালের খবর দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় খাগড়াছড়িতে মহিলা দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত। কালের খবর যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মরিয়ম বেগম চতুর্মুখী সমস্যায় জর্জরিত। কালের খবর সেনাবাহিনীর উপর ইউপিডিএফ এর হামলার ঘটনায় সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন। কালের খবর রায়পুরায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযান। কালের খবর
সিরাজগঞ্জে ক্ষীরার বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি। কালের খবর

সিরাজগঞ্জে ক্ষীরার বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি। কালের খবর

মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকার তাড়াশে এবার ক্ষীরার ফলন হয়েছে আশাতীত। আর এ অঞ্চলের ক্ষীরার চাহিদা রয়েছে সারাদেশেই। এদিকে ক্ষীরার দাম ভাল পাওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। হাসি কৃষকের মুখে। জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় সাড়ে ৪২৭ হেক্টর জমিতে ক্ষীরা চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৭৫ হেক্টর বেশি। ক্ষীরাকে কেন্দ্র করে তাড়াশ উপজেলার দিঘরীয়া গ্রামে গড়ে উঠেছে ক্ষীরার মৌসুমি হাট। এ হাটে প্রতিদিন ঢাকা, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার এসে ক্ষীরা ক্রয় করেন। কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, এ বছর আমি ৩ বিঘা জমিতে ক্ষিরার চাষ করেছি। ৩ বিঘা জমিতে ক্ষিরা চাষ করতে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলন অনেক ভাল হয়েছে। বাজার দর ভাল থাকলে খরচ বাদে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হবে। উপজেলার দিঘরীয়া গ্রামে কৃষক মজনু জানান, ধান চাষের পাশাপাশি এ বছর আড়াই বিঘা জমিতে ক্ষিরা চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ মণ করে ক্ষীরার ফলন হবে। বর্তমান বাজারে প্রতি বস্তা ক্ষিরা ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার দর এ রকম থাকলে আড়াই বিঘা জমিতে ৩৮ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ হবে। চলনবিলের তাড়াশের দিঘুরীয়া, রানীর হাট ও কোহিতসহ ১৫টি গ্রামে গড়ে উঠেছে ক্ষীরা বিক্রির অস্থায়ী আড়ত। উপজেলার কোহিত, সাচানদিঘি, সান্দুরিয়া, সড়াবাড়ি, বারুহাস, দিঘুরীয়া, দিয়ারপাড়া, তালম সাতপাড়া, নামো সিলট, খাসপাড়া, বড় পওতা, তেঁতুলিয়া, ক্ষীরপোতা, খোসালপুর, বরগ্রাম, বিয়াস আয়সে ও পিপুলসোন গ্রামের মাঠের পর মাঠ ক্ষীরার আবাদ হয়েছে। অনেক কৃষক লাভের আশায় নিজের জমি না থাকায় জমি লিজ নিয়ে ক্ষীরার আবাদ করেন। আর ওই ক্ষীরার বিক্রিকে কেন্দ্র করে উপজেলার দিঘুরীয়া এলাকায় বসেছে বড় ক্ষীরার আড়ত। এ আড়তে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা ক্ষীরা বিক্রি করার জন্য এ আড়তে ভিড় করেছেন। এদিকে আড়ত থেকে বিভিন্ন জেলার পাইকাররা ট্রাকে করে ক্ষীরা কিনতে আসেন। এলাকার ক্ষীরা সাধারণত ঢাকা, রাজশাহী, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যায়। প্রতিদিন শত শত মেট্রিক টন ক্ষীরা বেচা-কেনা হচ্ছে। তাড়াশে উৎপাদিত ক্ষীরা যাচ্ছে ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায়। এ আড়ৎ থেকে প্রতিদিন ৪৫ থেকে ৫০ মে. টন ক্ষীরা যাচ্ছে শুধু রাজধানী ঢাকায়। তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহান লুনা বলেন, উপজেলার ফসলী জমিতে ক্ষিরা চাষ খুব ভালো হয়। কৃষি অফিসের লোকজন সার্বক্ষণিক কৃষকদেরকে ক্ষীরা চাষে উৎসাহ ও পরার্মশ দিয়ে সহযোগীতা করে আসছেন। ক্ষীরা চাষে কৃষকরা অন্যান্য কৃষি দ্রব্যের তুলনায় ভাল লাভবান হতে পারেন।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com